অভিমানী শম্পাকে চপ খাইয়ে মানভঞ্জন করলেন সায়ন্তিকা : ঐক‍্যবদ্ধভাবে প্রচার

21st March 2021 1:02 pm বাঁকুড়া
অভিমানী শম্পাকে চপ খাইয়ে মানভঞ্জন করলেন সায়ন্তিকা : ঐক‍্যবদ্ধভাবে প্রচার


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  'বিদায়ী' বিধায়ক শম্পা দরিপার মানভঞ্জনে তাঁর বাড়িতে এলেন বাঁকুড়া বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী চিত্রাভিনেত্রী সায়ন্তিকা ব্যানার্জী। রবিবাসরীয় সকালে নির্বাচনী প্রচার শুরুর আগেই শম্পা দরিপার শহরের স্কুলডাঙ্গার বাড়িতে পৌঁছে যান তিনি। সেখানে শম্পা দরিপার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ জমিয়ে আড্ডা দেওয়ার পর সকালের জল খাবার হিসেবে চপ মুড়ি খান সায়ন্তিকা। এমনকি 'অভিমানী' শম্পাকে নিজের হাতে চপও খাইয়ে দিলেন তৃণমূলের এই তারকা প্রার্থী। এমন ছবিও ধরা পড়লো উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়।

   প্রসঙ্গত, গত ২০১৬ র বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী হিসেবে হাত চিহ্ন প্রতীকে শম্পা দরিপা বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হন। কিন্তু তার পরেই শাসক দলের 'উন্নয়নে' সামিল হতে ঘাস ফুল শিবিরে যোগ দেন। কিন্তু ২০২১ র বিধানসভা নির্বাচনে 'দলবদলু' শম্পা দরিপাকে প্রার্থী না করে ঐ আসনে চিত্রাভিনেত্রী সায়ন্তিকা ব্যানার্জীকে প্রার্থী করে তৃণমূল। তারপর সুর বদল করেন শম্পা দরিপা। জেলা তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর বাক্ যুদ্ধের সাক্ষী থাকে জেলা রাজনৈতিক মহল। যদিও তার  কয়েক দিন পরই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভামঞ্চে দেখা যায় তাকে। পরে এদিন খোদ তৃণমূল প্রার্থী এলেন শম্পা দরিপার বাড়িতে।

     শম্পা দরিপাকে জড়িয়ে ধরে সায়ন্তিকা ব্যানার্জী বলেন, past is dead। দিদির সঙ্গে দেখা করে বৃত্ত সম্পূর্ণ হলো। টীমের সবাই একসাথে কাজ করবেন বলে তিনি জানান।

শম্পা দরিপা বলেন, সায়ন্তিকার প্রতি কোন অভিমান ছিলনা। ও একটা মিষ্টি মেয়ে। অভিমান ছিল দলের প্রতি। এরপরেই গ্যাস সহ অন্যান্য জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলে বাংলা তথা বাঁকুড়াকে আমরা বর্গীর হাতে দেবোনা।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।